মোস্তাফিজ আমিন, ভৈরব॥
কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা হিসেবে বিগত সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে ভৈরবে।
আজ শনিবার ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পূর্বে ঘোষিত ভৈরব লঞ্চটার্মিনালে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। “ভৈরবের সর্বস্তরের জনগণ” এই ব্যানারে ছাত্র-জনতার আহ্বানে হাজারো জনতা ওই কর্মসূচীতে অংশ নেন।
কর্মসূচী থেকে অবিলম্বে ভৈরব জেলা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে বর্তমান অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবেন বলে জানান বক্তারা। যদিও এটি তাদের কাম্য নয়। তারা চান সরকার তাদের দাবির গুরুত্ব অনুধাবন করে বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন-ইতোমধ্যে তারা ঢাকা-সিলেট, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে এবং আজ পূর্বাঞ্চলের প্রবেশপথ খ্যাত নৌপথের ভৈরব নদীবন্দরের লঞ্চটার্মিনালে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করেছেন।
আগামী ২৫ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত তারা সরকারকে সময় দিয়ে তাদের কর্মসূচী বিরত রাখবেন। এরমধ্যে দাবি পূরণে দৃশ্যত: কোনো পদক্ষেপ না নিলে ২৬ অক্টোর রবিবার ঢাকা-সিলেট, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ব্লকেট দিয়ে দেশের পূর্বাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকার সাথে বিচ্ছিন্ন করে দিবেন।
পরে ধারাবাহিকভাবে অনুরূপ কর্মসূচী দেওয়া হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রেলপথ এবং ভৈরব নৌবন্দরে। এইভাবে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচী দিয়ে তাদের দাবি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে সরকারকে।
সভায় বক্তব্য রাখেন জুলাইযোদ্ধা মাওলানা শাহরিয়ার, জাহিদুল ইসলাম হৃদয়, গণঅধিকার নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, যুবনেতা শেখ মহিউদ্দিন পরাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ আবির প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: ২০০৯ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের অংশ হিসেবে তৎকালীন সরকার ১৩ উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ জেলাকে ভেঙ্গে কটিয়াদী, বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম, কুলিয়ারচর ও ভৈরবে নিয়ে দেশের ৬৫তম জেলা হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সেই সময় অখ- কিশোরগঞ্জ দাবির অজুহাতে বিরোধিতা করে সংসদের স্পীকার আব্দুল হামিদ ও স্থানীয় যদিও ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের জরিপে ভৈরবকে জেলা করার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব পজেটিভ ফলাফল মাঠ পর্যায় থেকে যায় সরকারের হাতে।
https://slotbet.online/